বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ নড়াইলের শেখাটি ফাঁড়ির ইনচার্জ, সহকারী ইনচার্জ ও কয়েক পুলিশের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মানিককে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
তিনি সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসা করাতে গেলেও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই বলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন এবং আহত মানিককে জোরপূর্বক নিয়ে আসে সহকারী ইনচার্জ এএসআই আলমগীর। বর্তমানে মানিক গুরুতর আহত অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার বিচার দাবি করে শনিবার (২৮ মার্চ) নড়াইলের পুলিশ সুপারের কাছে দরখাস্ত করেছেন আহতের মা লতিফা বেগম।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তরিকুল ইসলাম মানিক ঢাকায় থাকেন। করোনাভাইরাসের কারণে গ্রামে চলে আসেন। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে তিনি কাঁচা বাজার করে ফিরে যারার পথে শেখাটি বাজারে সাদা পোশাকে দুজন ব্যক্তি তাকে বলেন, এখানে করোনা ছড়াতে এসেছিস? বলেই ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং মারতে মারতে ফাঁড়িতে নিয়ে এসআই এনামুল ও এএসআই আলমগীর ও কয়েক কনস্টবল প্রায় ১ ঘণ্টা থেমে থেমে শরীরের বিভিন্ন জায়গার আঘাত করেন। পরে ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ আলমগীরসহ ৩ পুলিশ মানিককে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নসিমনে সদর থানার ওসির কাছে আনলে তিনি এলাকায় গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে ছেড়ে দেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরিকুল ইসলাম মানিক জানান, পুলিশ একজনের মাধ্যমে প্রস্তাব দিয়েছিল বিষয়টি টাকা দিয়ে মীমাংসা করতে। কিন্তু আমি কোনো অন্যায় করিনি বিধায় কোনো আপসে যাইনি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানান।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মিম বলেন, শেখাটি এলাকায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার পেছনে তার অনেক ভূমিকা রয়েছে। এ ঘটনা তদন্তপূর্বক দোষিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
শেখাটি বাজার কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম সরদার বলেন, ৬ থেকে ৭ জন পুলিশ মানিকের মাস্ক না থাকার অভিযোগে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে বেধড়ক মারপিট করে। আমরা বাজার কমিটির লোকজন পুলিশের হাত-পা ধরলেও তারা কোনো কথা শোনেনি।
অভিযুক্ত শেখাটি ফাঁড়ির ইনচার্জ এনামুল বলেন, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক আমরা ডিউটি পালন করছিলাম। তার মাস্ক পরা ছিল না। তাকে এসব বিষয়ে পশ্ন করা সে পুলিশের সাথে বেয়াদবি করে। তাকে মারা হয়নি। সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তিনি টাকার বিনিময়ে মিমাংসার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এএসআই আলমগীর মানিককে চিকিৎসা নিতে বাঁধা দিয়েছে বিষয়টি ঠিক নয় বলে জানান।
সেকেন্ট ইনচার্জ এসআই আলমগীরকে কয়েকবার ফোন করা হলে হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নড়াইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। দেশের এই অবস্থায় হয়তো কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হতে পারে। তারপরও বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply